শিক্ষক এই শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে এমন একজন ব্যক্তির চিত্র, যিনি জ্ঞান, নৈতিকতা আর মানবিকতার আলো ছড়িয়ে দেন। জন্মের পর থেকে মানুষ ধীরে ধীরে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তোলে। এই শিক্ষা প্রদানের মহান দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক। তাই তাকে বলা হয় “জাতির কারিগর”।
শিক্ষক কে?
শিক্ষক শুধু পাঠ্যবইয়ের পাঠদাতা নন। তিনি একজন পথপ্রদর্শক, অভিভাবক, প্রেরণাদাতা এবং সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি।
তিনি শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলেন।
নৈতিকতা, মানবিকতা ও শৃঙ্খলা শেখান।
জীবনের সঠিক পথে চলার দিশা দেন।
ইসলামে শিক্ষকের মর্যাদা
ইসলামে শিক্ষকের মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন “তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সেই ব্যক্তি, যে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।
অর্থাৎ জ্ঞানদান ও শিক্ষাদান আল্লাহর কাছে মহৎ কাজ। তাই ইসলামে শিক্ষকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ইবাদতের অংশ হিসেবেও বিবেচিত।
সমাজে শিক্ষকের ভূমিকা
শিক্ষক সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
1.জাতি গঠনের কারিগর শত শত শিক্ষার্থীকে তৈরি করে ভবিষ্যতের নেতা বানান।
2.নৈতিকতার শিক্ষক মানবিকতা, সততা, দেশপ্রেম ও ন্যায়ের শিক্ষা দেন।
3.উন্নত সভ্যতার ভিত্তি ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, উন্নত জাতির পেছনে জ্ঞানী শিক্ষক ছিলেন।
কেন শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা জরুরি?
আজকের দিনে অনেক জায়গায় শিক্ষক অবমূল্যায়িত হন। অথচ শিক্ষককে সম্মান না দিলে কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।
শিক্ষকের প্রতি আমাদের দায়িত্ব
✅ শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রদর্শন করা।
✅ তাদের পরিশ্রমের কদর করা।
✅ নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে গ্রহণ করা।
✅ সমাজে শিক্ষকের যথাযথ মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা।
উপসংহার
শিক্ষক একটি প্রদীপের মতো, যা নিজে পুড়ে চারপাশকে আলোকিত করে। শিক্ষকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন মানে নিজের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করা। তাই আমাদের সবার উচিত শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করা এবং তাদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া