বিয়ে শুধু দু’জন মানুষের একসাথে থাকার নাম নয় এটি আসলে দয়া, ভালোবাসা আর দায়িত্বের সুন্দর বন্ধন। ইসলামে আল্লাহ তা’য়ালা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে খুব মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন
“স্ত্রীর যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি তাদের অধিকারও আছে স্বামীদের উপর।” (সূরা বাকারা ২২৮)
অর্থাৎ স্ত্রী যেমন স্বামীর হক আদায় করবে, তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর হক দিতে হবে। আর স্ত্রীকে সম্মান করা, তার প্রয়োজন পূরণ করা, সুন্দর আচরণ করা এসবই স্বামীর দায়িত্ব।
স্ত্রীর প্রধান হকসমূহ
✅ মহর দেওয়া
স্ত্রীর প্রথম হক হলো মহর। বিয়ের সময় যেটি নির্ধারণ করা হয়, সেটা স্বামীর জন্য ফরজ। এটি শুধু টাকা বা সম্পদ নয়, বরং স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মানের প্রতীক।
✅ ভরণ-পোষণ করা
স্ত্রীর খাবার, পোশাক, বাসস্থান, চিকিৎসা—সবকিছুর দায়িত্ব স্বামীর। স্ত্রী ধনী হলেও তার খরচ বহন করা স্বামীর কর্তব্য।
✅ সুন্দর ব্যবহার করা
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম, যে তার স্ত্রীর সাথে সবচেয়ে উত্তম আচরণ করে।”
অতএব, রাগ অভিমান, গালমন্দ নয়; বরং কোমল কথা, হাসি-খুশি ব্যবহার, দয়া ও স্নেহই হবে স্বামীর বৈশিষ্ট্য।
✅ ভালোবাসা ও মানসিক শান্তি দেওয়া
স্ত্রীর মন ভাঙা নয়, বরং মন জিততে হবে। সময় দেওয়া, কথা শোনা, ছোট ছোট যত্ন নেওয়া এগুলোও স্ত্রীর হক।
✅ ধর্মীয় হিফাজত
স্ত্রীকে নামাজ, রোজা, ইসলামের বিধান মেনে চলতে উৎসাহ দেওয়া এবং হারাম কাজ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করাও স্বামীর দায়িত্ব।
শেষকথা
স্ত্রী হলো স্বামীর জীবনের সঙ্গী, বন্ধু ও আমানত। তার হক আদায় করা মানে শুধু দাম্পত্য জীবন সুন্দর করা নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীল হয়, তবে সংসারে সুখ শান্তি, ভালোবাসা ও বরকত নেমে আসে।